উদ্ভট সব স্বপ্ন দেখছি আজকাল; কেন যে প্রেমে পড়েছিলাম!

শুধু প্রেম বললে ভুল হবে, প্রেমে একেবারে অন্ধ হয়ে আছি আমি। যখন তখন ছুটে যেতে চাই তার কাছে। শেষ যেদিন তার মিষ্টি স্বর কানে ভেসে এসেছিল, আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। প্রতিক্ষণে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম তার মাঝে। আকাশে বাতাসে শুধু তারই ছন্দ, তারই রূপ, তারই মধুময় স্পর্শ। মোহে এতোটাই অন্ধ হয়ে গেছি যে প্রতিরাতে তার কথা ভাবি। আকাশে এক ছটাক মেঘ জমলেই মনে পড়ে তার কথা। দক্ষিণের হাওয়ার অল্প একটু গা ছুঁয়ে গেলেই মনে পড়ে তার ভুবন-ভোলানো রূপের কথা।

সে আর কেউ না, আমার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। 😀 😛 😀 😛

কক্সবাজার সৈকতে সূর্যাস্তের ছবিটা আমার তোলা। প্রথম প্রকাশঃ আমার ব্লগে

কেবল সৈকতই নয়, বরং পুরো কলাতলী এলাকাটাই আমার চোখে প্রতিটা মুহুর্তে ভাসে। এ পর্যন্ত দু’বার কক্সবাজার যাবার সৌভাগ্য হয়েছে। কিন্তু কোনোবারই মন ভরেনি। বারবার ইচ্ছে হয়েছে সেখানেই কাটিয়ে আসি সপ্তাহের পর সপ্তাহ। সমুদ্রের প্রতি প্রবল এক টান সৃষ্টি হয়েছে আমার মধ্যে। ঠিক করেছি, টাকা হলে প্রতি তিনমাসে একবার কক্সবাজার ঘুরবো। 😉

এবার আসি স্বপ্নের ব্যাপারে। ইদানীং গাঁজাখুরি সব স্বপ্ন দেখছি। 😦 বুঝলাম না জ্বীন-ভূতে আছড় করলো কি না।  তবে গতকাল রাতের স্বপ্নটা বেশ ইন্টারেস্টিং। স্বপ্ন থেকে ঘুম ভেঙ্গে নিজেই এক ঘণ্টা একা একা হেসেছি। ঘুমানোর সময় গতকাল আকাশে চাঁদ আর বাইরের দমকা হাওয়ার শব্দ শুনে সমুদ্রের কথা মনে পড়ে গেল। সমুদ্রের সঙ্গে কাটানো সময়গুলো নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়েছি। শুনেছি যা ভাবতে ভাবতে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে, প্রায় সময়ই তা নিয়েই স্বপ্ন দেখে। আমিও ঠিক তাই দেখেছি। উম, ঠিক তা না। একটু আজগুবি টাইপের। স্বপ্ন কী দেখেছি? বলছি।

গতরাতে স্বপ্ন দেখলাম আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে টাইটানিকে করে কক্সবাজার যাচ্ছি!!! 😆

ঢাকা থেকে কক্স’স বাজার জাহাজে কেমনে যায় সেটাই বুঝলাম না। তার উপর আবার ১৯১২ সালের মরা জাহাজ টাইটানিক কোত্থেকে আসলো, সেটা তো মাথায় ঢুকা দূরে থাক, মাথার ধারে কাছেও আসলো না। 😦

নাহ্‌, কক্স’স বাজারের প্রতি প্রেমটা একটু বেশিই হয়ে গেছে। প্রেমিকার সঙ্গে সময় না কাটিয়ে আর ভালো লাগছে না। দু’মাস পর প্রি-টেস্ট পরীক্ষা। তারপর টেস্ট, তারপর এসএসসি। কবে যে প্রেমিকার কাছে যাবো…। 😦

coxs bazar road

কলাতলী রোড, যার কথা প্রতিদিন মনে পড়ে।

coxs bazar

তবে নিত্য-নতুন বহুতল ভবনের জন্য অচিরেই নিজস্ব সৌন্দর্য্য হারাবে কলাতলী রোড।

2 responses

    • তাড়াতাড়ি যান। বাংলাদেশে তো আবার বেশিদিন কোনোকিছু অটুট সুন্দর থাকে না।

Leave a comment