সেইন্ট মার্টিনে পা রেখে অদ্ভূত একটা অনুভূতি হওয়ার কথা ছিল। কোনো এক আজগুবি কারণে তেমন কিছুই হলো না। এতোদিন সেইন্ট মার্টিন নিয়ে মনে মনে যে চিত্র এঁকেছি, বাস্তবের সেইন্ট মার্টিন যেন সেই চিত্রের সঙ্গে খাপ খায় না। দূর থেকে সেইন্ট মার্টিন দেখে প্রথমেই যেই জিনিসটা বেমানান লাগলো, সেটা হলো মোবাইল কোম্পানির একটা টাওয়ার। অবশ্যই এই দ্বীপে প্রযুক্তির ছোঁয়া রয়েছে এবং তার প্রয়োজনও রয়েছে। কিন্তু একেবারে সামনে থেকেই এই টাওয়ার দেখতে পাওয়ায় সেইন্ট মার্টিনের পরিবেশের সেই প্রাকৃতিক ছোঁয়া পাবো ভেবেছিলাম, তা হারিয়ে গেল।
বাস্তবেও তাই হয়েছিল। সেইন্ট মার্টিন বেশ সুন্দর একটি জায়গা। সত্যিই অনেক সুন্দর। কিন্তু ততোটা সুন্দর নয় যতোটা আপনি মনে মনে ভাবছেন।
সেইন্ট মার্টিনেও রয়েছে লোকালয়। প্রথম দৃষ্টিতে ছোট একটি গ্রামের মতো মনে হবে এটি। এখানকার স্থানীয়দেরও বেশ দেখা যায়। তাদের বাড়িঘরও অনেকটা গ্রাম্য বাড়িঘরের মতোই। তাই জাহাজ থেকে নেমে হোটেল আর বিভিন্ন দোকানের ছোটখাটো বাজার পার হয়ে যখন দ্বীপের মূল সৈকতের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন রাস্তার দু’পাশের দৃশ্য দেখে একটা গ্রাম বলাকেই পারফেক্ট মনে হচ্ছিল।
মূল সৈকতে যাবার আগে অব্শ্য হোটেল থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। সকাল ৭টায় রওনা হয়ে সেইন্ট মার্টিন পৌঁছেছি দুপুর তিনটেয়। খিদে তো লাগবেই। খাবার বলতে সেখানে সামুদ্রিক মাছ, মুরগি, সবজি ও ডাল ছিল। বলা বাহুল্য, এর আগের তিন কক্সবাজারের সৈকতে রূপচাঁদা মাছ নিয়েছিলাম। খুব একটা ভালো লাগেনি। তাই সেইন্ট মার্টিনের ভাজা রূপচাঁদার মনকাড়া ঘ্রাণ উপেক্ষা করে সবজি, মুরগি আর ডাল দিয়েই লাঞ্চ সারলাম। পরে অবশ্য জেনেছি, সেইন্ট মার্টিনে গিয়ে ভাজা রূপচাঁদা মাছ না খেলে যাওয়াটাই বৃথা! 😥