মোজিলা সামিট ২০১৩: ওপেন ইন্টারনেটের লক্ষ্যে মোজিলার অবস্থান ও ভবিষ্যতের ফায়ারফক্স (২য় দিন)

এই পোস্টটি তিনটি ধারাবাহিক পোস্টের দ্বিতীয় পর্ব। যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা ক্লারায় চলমান মোজিলা সামিট ২০১৩ থেকে বিভিন্ন হাইলাইটগুলো নিয়ে আজকের এই পোস্ট। সিরিজের প্রথম পোস্টটি দেখুন এখানে: মোজিলা সামিট ২০১৩: মোজিলা ও ফায়ারফক্স ওএস-এর ভবিষ্যত (১ম দিন)

মজিলা ম্যাগাজিন

মোজিলা সামিট ২০১৩-এর দ্বিতীয় দিনের শুরুর প্রেজেন্টেশনগুলো ছিল মোজিলা কীভাবে একটি উন্মুক্ত ইন্টারনেটের লক্ষ্যে এগোচ্ছে এবং ফায়ারফক্স ব্রাউজার ও ফায়ারফক্স ওএস এর জন্য ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে। যেমনটা উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, মোজিলার চোখে এই বিষয়গুলো ওপেন ইন্টারনেটের সাইন বা চিহ্ন। তবে ওপেন ইন্টারনেটের আগে মোজিলা দেখছে আসলে কত শতাংশ মানুষ ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচিত বা ইন্টারনেটকে তাদের জীবনে উন্নয়ন আনার জন্য কাজ করছে। Continue reading

মোজিলা সামিট ২০১৩: মোজিলা ও ফায়ারফক্স ওএস-এর ভবিষ্যত (১ম দিন)

মোজিলা সামিট ২০১৩

মোজিলা সামিট ২০১৩

বেশ কয়েক মাসের ব্যাপক প্রস্তুতির পর অবশেষে বিশ্বব্যাপী মোজিলিয়ানদের নিয়ে তিনটি শহরজুড়ে পর্দা উঠেছে বহুল-আলোচিত মোজিলা সামিট ২০১৩-এর। বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, কানাডার টরোন্টো এবং যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা ক্লারায় ৪ঠা অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনী ঘোষণা দেয়া হয় মোজিলা সামিট ২০১৩-এর। সুবিশাল এই তিনদিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধনীতেই মোজিলা ও মোজিলিয়ানদের ভবিষ্যত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়া হয়েছে।

মোজিলা বাংলাদেশ টিম এবারের মোজিলা সামিট ২০১৩-এর সান্তা ক্লারা ভেনুতে অংশ নেয়ার সুযোগ লাভ করেছে। আর সেই টিমের হয়েই মোজিলা বাংলাদেশের অন্যান্য অবদানকারী এবং আগ্রহীদের মোজিলা সামিটের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হাইলাইট করার জন্যই আজকের এই পোস্ট।

হাইলাইটগুলো প্রকাশিত হচ্ছে দি মজিলা ম্যাগাজিন-এ।

Continue reading

বৃষ্টি ও একাকীত্বের কথা

বৃষ্টি

সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমে এসেছে। কিন্তু ঝড়ো হাওয়ার বেগ বেড়েছে। যেন বৃষ্টির কমে যাওয়াটা পুষিয়ে নিতেই বাতাস তার বেগ বাড়িয়ে নিয়েছে।

শহরের ব্যস্ত এই মোড়ের চিত্র অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক ভিন্ন। মোড়ের চা-পানের দোকানটা বন্ধ। রাস্তায় এক-দেড় ইঞ্চি পানি জমে আছে। আশেপাশের টিনশেড বাড়িগুলোর টুয়া থেকে সমানে বৃষ্টির পানি পড়ছে সেই ইঞ্চিখানেক জমে থাকা পানির উপর। খানিকটা ঝর্ণার মতো সেই শব্দের সঙ্গে যোগ হয়েছে টুপটাপ বৃষ্টির শব্দ। আর সেই সঙ্গে বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ তো কান পর্যন্তই পৌঁছে যায়।

এসব কিছু শোনা গেলেও দেখা যাচ্ছে না ঠিকভাবে। সন্ধ্যা নেমে যাওয়ার পর থেকে দিনের আলোও প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে কমে এসেছে। এখন কেবল অদ্ভূত এক গাঢ় নীল আবছা আলোয় মোড়ের এই বৃষ্টির ধারা দেখা যাচ্ছে।

শহরের বুকে এমন অবাস্তব ও অবিশ্বাস্য এক মূহুর্তে একলা হেঁটে চলেছে অর্পি। হাঁটার গতি দেখেই বলে দেয়া সম্ভব গভীর কোনো চিন্তায় মগ্ন। এই সময়টায় এখানে এমন দৃশ্য দেখলে সবারই এক মূহুর্ত দাঁড়িয়ে উপভোগ করার কথা। কিন্তু অতিপ্রাকৃতিক এই দৃশ্য উপভোগ করার মতো মন-মানসিকতা যে অর্পির নেই। তাই প্রকৃতির এই অপরূপ চিত্র অর্পির নজরের বাইরেই থেকে গেলো।

অর্পির এই খারাপ আবহাওয়ার দিনে বাসা থেকে বের হওয়ার কোনো প্ল্যানই ছিল না। ছোট বোনের কাছ থেকে সারাদিন টিভির রিমোট লুকিয়ে রেখেছে সন্ধ্যার পরের কিছু নাটক দেখবে বলে। কিন্তু হঠাৎই ওর মন খারাপ হয়ে গেল। অনেকগুলো ভাবনা মাথায় এসে জড়ো হলো। কেন যেন ওর নিজের অস্তিত্বই অসহ্য লাগতে শুরু করলো। এসব থেকে স্বস্তি পাওয়ার আশায়ই বাসায় বান্ধবীর বাসায় যাবে বলে বেরিয়ে এসেছে ও।

কিন্তু ও জানে ওর গন্তব্য কোথাও না। বৃষ্টি না কমলে হয়তো বেরই হওয়া হতো না। বৃষ্টি কমায় এই দমকা হাওয়া ও টুপটাপ বৃষ্টির মাঝে হাঁটতে ভালোই লাগছে। তাই সে হাঁটছে। বৃষ্টির বেগ না থাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ওর পায়ের আওয়াজ কেমন যেন এক ধরনের ছন্দের সৃষ্টি করেছে। মিনিট দশেক হাঁটার পর এই একলা পথ চলায় অর্পির সঙ্গী হয়ে উঠলো সেই ছন্দময়ী আওয়াজ। এক মূহুর্তের জন্য ও দাঁড়িয়েছিল, আর সঙ্গে সঙ্গেই যেন নীরবতা ওকে ঘিরে ধরেছিল। তাই দম না দিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করেছে সে।

গত ক’দিন ধরেই কেন যেন কোনোকিছুতেই অর্পির আর মন বসছে না। ওর জীবনে না পাওয়ার সংখ্যা খুবই কম। দারুণ এক পরিবারে জন্ম ওর, অসাধারণ সব মানুষ ওর বন্ধু মহলে, কিন্তু তবুও কেন যেন মনে হচ্ছে এর সবই অর্থহীন। হঠাৎই কাছের মানুষগুলোর সব কথাবার্তা, কেয়ার নেয়া, সবকিছু মেকি মনে হচ্ছে। মা সকালে এসে নাস্তা সাধলে মনে হচ্ছে ঢঙ করছে। ওর সবচেয়ে ভালো বন্ধু সিমি ওর জ্বর শুনে সারাদিন এসে পাশে বসে থাকার সঙ্গে সিমির নিজস্ব কোনো স্বার্থ জড়িত বলে মনে হয়েছে। দিনশেষে এই সব ভাবনার জন্য নিজেকেই চরম অপদার্থ বলে নিজের অস্তিত্বের জন্যই রাগ লাগতে শুরু করেছে ওর।

কী হয়েছে ওর? হঠাৎ কেন এতো বদলে যাচ্ছে? ওর আশেপাশের মানুষগুলো তো বদলায়নি। তাদের প্রতি অর্পির দৃষ্টিভঙ্গি কেন এতো বদলালো? বদলাবেই যখন, কেনই বা তা খারাপ দিকে যাবে?

এমনই শত প্রশ্নের মাঝে ডুবে যখন বৃষ্টিজমা গলতে পা ডুবিয়ে হাঁটছে অর্পি, তখন পাশের এক হোটেল থেকে ডাক এলো, “চা খেয়ে যান আপা! এই গরমে চা অনেক ভালো লাগবে। কফিও আছে।”

বয়স্ক লোকটার দিকে একবার কেবল তাকালো অর্পি। আবারও নীরবতা জেঁকে ধরবে এই ভয়ে হাঁটা বন্ধ করলো না। পরমূহুর্তেই যেভাবে মাথা নিচু করে হাঁটছিল, সেভাবে হাঁটতে শুরু করলো। প্রশ্ন জর্জরিত মন মূহুর্তেই আগের অবস্থায় ফিরে গেল। যেন এইমাত্র ঘটা ঘটনা কখনো ঘটেইনি।

অর্পির হেঁটে যাওয়া দেখে হোটেলে লোকটি দ্বিতীয়বার আর ডাকলো না। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার আত্মসম্মানবোধও কিছুটা বেড়েছে। চা খেতেই তো ডেকেছে। মেয়ের বয়সী মেয়েটার এতে নিজেরও ভালো লাগবে, তারই দু’টো পয়সা আয় হবে। এতে এমন ভাব দেখিয়ে না শোনার ভান করার কি দরকার ছিল!

অথচ অর্পি কোনো ভাব দেখায়নি। সাধারণত ও সবার সঙ্গে খুব মিশুকভাবে কথা বলে। এতে করে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে যে পড়তে হয়নি তা নয়। কিন্তু তবুও ও ভালো ব্যবহার করে সবার সঙ্গে। কিন্তু আজ ওর মন ভীষণ খারাপ। পাড়ার এক হোটেলে থাকা বৃদ্ধের তা বোঝার কথা না। সবাই নিজের অবস্থানে থেকেই আরেকজনকে বিচার করে। আরেকজন কী অবস্থায় আছে, তা ভেবে দেখার প্রয়োজন কেউ বোধ করে না।

অন্ধকার ততক্ষণে জেঁকে ধরেছে অর্পিকে। এই রাস্তায় আর একা হাঁটা নিরাপদ বোধ করলো না। কেন হঠাৎ তার মনে এমন পরিবর্তন এলো, কেন কোনোকিছুই আর তার ভালো লাগছে না, কেনই বা এই খারাপ আবহাওয়ায় বাসা থেকে বেরিয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটাহাঁটি করলো, এর সব কিছুকে রহস্য রেখেই আবার ফেরার পথ ধরলো সে।

মানুষ কিছু কথা তার সবচেয়ে আপনজনের কাছ থেকেও গোপন রাখে। আবার কিছু কথা আছে, যেগুলো নিজের কাছেও গোপন রাখে, যেগুলোর উত্তর খোঁজাখুজি করে না। থাক না, সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে লাভ কী! মন খারাপের মূহুর্তগুলো শেষে কেবল বৃষ্টিমুখর এক সন্ধ্যার উদ্দেশ্যহীন হাঁটাহাঁটির করে সময় নষ্টের বেশি কিছু হবে না।

আবার কে জানে, হয়তো কারো কারো কাছে সেই উদ্দেশ্যহীন হাঁটাহাঁটিই মন ভালো করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট!!

এলো এইচএসসি, আর বরাবরের মতোই দুশ্চিন্তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না!

hsc exam

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এরকম খবর প্রতি বছর পত্র-পত্রিকায় পড়ে আসলেও এবারের ঘটনা ভিন্ন। কেননা, এবার আমাকেই বসতে হবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায়।

প্রিপারেশন জানতে চাহিয়া লজ্জা দিবেন না।পরীক্ষা নিয়ে টেনশন কোনোকালেই কেন যেন ছিল না। পড়াশোনার প্রতি খুব একটা টান বা মনোযোগ দু’টোর একটাও নেই। অনেক আগে ক্লাস ওয়ান-টু-তে পড়াকালীন বেশ প্রখর ছাত্র ছিলাম বলে অভিভাবক সূত্রে জানা যায়। 😐 কিন্তু সেসব দিনের কথাই মনে পড়ে না। তাই এইচএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে এখন ব্লগিং করছি আর ফেসবুকে বসে আছি।

আমার সম্পর্কে মানুষের একটা জনপ্রিয় ভুল ধারণা হলো, আমি মারাত্মক ট্যালেন্টেড। কোনো এক অশরীরী আমার নামে সাইবার ওয়ার্ল্ডে এই দুর্নাম ছড়াচ্ছে তা এখনও বের করতে না পারলেও মানুষ কেন সেটা বিশ্বাস করে সেটা আরও বড় অবাক হওয়ার কারণ। আমি হলাম পুরোমাত্রায় টেক-অ্যাডিক্টেড মানুষ। টেক-অ্যাডিক্টেড মানুষ পড়ালেখা করে না এমনটা না। কিন্তু তবুও আমার আলসেমিটা একটু বেশিই। 😕 Continue reading

ফিরে আসবে অ্যান্ড্রয়েড কথন। একটু সময় লাগলেও সব লেখা আর মন্তব্যই পাওয়া যাবে। শুভানুধ্যায়ী ও পাঠকদের জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। 🙂

অ্যান্ড্রয়েড কথন

অ্যান্ড্রয়েড কথন হ্যাকের খবর আশা করছি ইতোমধ্যেই সবাই জানেন। এ নিয়ে আমার (সজীব) মন্তব্যও প্রকাশিত হয়েছে আমার ব্যক্তিগত ব্লগে। অ্যান্ড্রয়েড কথন হ্যাক নিয়ে পাঠক যারা তাদের উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন ও আমাদের ফিরে আসার অপেক্ষা করে শুভ কামনা জানিয়েছেন তাদের প্রথমেই ধন্যবাদ।

অ্যান্ড্রয়েড কথন হ্যাক হবার পর প্রথম দুশ্চিন্তা ছিল ডেটাবেস নিয়ে। সাইটের ফুল ব্যাকআপ থাকলে হ্যাকড থেকে রিস্টোর হওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। স্বয়ংক্রিয় ব্যাকআপ প্রযুক্তি চালু থাকায় হ্যাক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব একটা দুশ্চিন্তায় পড়ার কোনো কারণ ছিল না। কিন্তু সর্বশেষ ব্যাকআপের ডেটাবেস ফাইলে কিছু ত্রুটি থাকার কারণে আমরা কোনোভাবেই পুরো ডেটাবেস রিস্টোর করতে পারছিলাম না। আমাদের ব্যাকআপ নেয়ার জন্য এই একটি পদ্ধতিই সক্রিয় ছিল। অন্য মাধ্যমে সর্বশেষ নেয়া ব্যাকআপ ছিল এক মাস আগের। অর্থাৎ, এই প্রযুক্তির ব্যাকআপগুলো কাজ না করার অর্থ এক মাস আগে ফিরে যাওয়া, যার মানে গত একমাসের সব লেখা ও মন্তব্য গায়েব।

View original post 167 more words

অ্যান্ড্রয়েড কথন হ্যাক ও এ নিয়ে আমার কিছু কথা

অ্যান্ড্রয়েড কথনঅ্যান্ড্রয়েড কথনের সূচনা নিয়ে আগেই একবার লিখেছিলাম। আজ সন্ধ্যায় সাইটটি হ্যাক হয়ে যাবার পর মনে হলো পাঠকদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু লেখা উচিৎ। এছাড়াও ব্যাকআপ ফাইল আপলোড হতে যে সময় নিচ্ছে ততক্ষণে ক্ষোভ-দুঃখ ঝাড়ার মতো একটাই উপায় আছে আমার কাছে, লেখা।

সূচনা

অ্যান্ড্রয়েড কথনের যাত্রা শুরু হয় একরকম হঠাৎ করেই। আমার প্রথম অ্যান্ড্রয়েড কেনার প্রায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মনে হলো অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে ডেডিকেটেড কোনো সাইট থাকা প্রয়োজন। ইতোমধ্যেই অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারে অনেক লেখা আছে, কিন্তু ডেডিকেটেড কোনো সাইট নেই।

এরচেয়েও বড় কারণ ছিল, লেখালেখি বা ব্লগিং-এর প্রতি আমার একটা নেশা আছে। অ্যান্ড্রয়েড হাতে পাবার পরই মনে হয়েছে এটা নিয়ে অনেক লেখালেখি করা যাবে। আর লেখক/ব্লগার মাত্রই জানেন যে, সবাই এই আশা করে যে তার লেখা মানুষ পড়বে।

যাই হোক, অনেকটা চুপিসারেই অ্যান্ড্রয়েড কথনের যাত্রা শুরু হয়। ফেসবুকে কেবল আমার বন্ধুতালিকায় থাকা ভাইয়ারাই প্রথমে সাইটটি দেখেন ও এগিয়ে যেতে উৎসাহ দেন। ফেসবুকের মাধ্যমেই মূলত অ্যান্ড্রয়েড কথন মাত্র ৩ মাসে দেড় লাখেরও বেশি পেজভিউ পেতে সক্ষম হয়। বর্তমানেও অ্যান্ড্রয়েড কথনের প্রধান দুই ট্রাফিক সোর্স হলো ফেসবুক আর গুগল।

সময় পেরোতে থাকে। আমিও বিপুল উদ্যমে লিখতে থাকি। কিছু কিছু ভাইয়া পরামর্শ দেন বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও লেখার। এতে করে অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট ইত্যাদি মাধ্যম থেকে আয়-রোজগার করা যাবে। ইংরেজিতে লিখতে আমার কোনো বাধা নেই। কিন্তু লেখার চেয়ে মার্কেটিং, এসইও ইত্যাদি কাজে বেশি সময় কাটাতে হবে। এছাড়াও ইংরেজি সাইট দাঁড় করানোও বেশ কঠিন। অন্যদিকে অ্যান্ড্রয়েড কথন মোটামুটি পরিচিতি পেয়ে গেছে। মানুষ নিয়মিত অ্যান্ড্রয়েড কথন পড়ছেন। তৈরি কমিউনিটি ছেড়ে অন্যদিকে যেতে সায় দিচ্ছিল না মন। তাছাড়া আমার সামনে পরীক্ষা রেখে দু’টো সাইট চালানোও সম্ভব না। Continue reading

অল্পক্ষণের নিরাশার কথা

‘হুম।’
‘তোমাকে ডিস্টার্ব করে থাকলে সরি।’
‘দেখো, আর যাই করো, বেশি বুঝবানা। তাহলে কিন্তু মেজাজ খুব খারাপ হয়।’
‘বেশি বুঝার কিছু নাই। আমার মনে হচ্ছে আমি তোমাকে ডিস্টার্ব করছি। সে জন্য বললাম।’
‘হুম।’

দুপুর থেকে ফেসবুকে বসে রয়েছি। ঘুম থেকে উঠেছি দেরি করে। আগের রাতে ঘুমিয়েছিও দেরি করে। ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিলাম আইডিবিতে। একটা রাউটার আর কিবোর্ড কেনার খুব দরকার ছিল। ঈদের আগেরদিন আইডিবি বন্ধ থাকবে জানতাম না। শুধু শুধুই গিয়ে ঘুরে এলাম। আসার পর ল্যাপটপ খুলে বিছানায় আধশোয়া হয়ে পড়ে রয়েছি। ঘুমও আসছে না, কাজ করতেও ইচ্ছে করছে না। আগামীকাল কুরবানীর পরের হাজারটা কাজের কথা চিন্তা করে এখনই মাথা ধরতে শুরু করেছে। আমি এমনিতেও কথা কম বলি। ‘হুম’ হচ্ছে আমার সবচেয়ে বেশি বলা আর লেখা শব্দ। তাই কেউ আমাকে বারবার হুম বলতে দেখলে প্রায়ই ভুল বুঝে যে আমি এড়ানোর চেষ্টা করছি।

কিন্তু কয়েকদিন কথা বলার পর বুঝে যাওয়ার কথা যে ‘হুম’ হচ্ছে আমার সবচেয়ে বেশি বলা শব্দ। কিন্তু তাও না বুঝলে আমার আর কী করার আছে। তাই আমিও তর্কে গেলাম না। বিছানায় আধশোয়া হয়ে পড়ে রইলাম। Continue reading

শূন্য অনুভূতি

গতকালের মতো আজও কেমন যেন একটা শূন্য অনুভূতি রয়ে গেছে। সত্যি কথা বলতে কি, আজকের শূন্য অনুভূতিটা গতকালের চেয়ে গাঢ়। বাউলরা গান গেয়ে চলেছে। তাদের বাদ্যযন্ত্রের সুর না চাইলেও শুনতে হচ্ছে। তাদের সুর যেমনই হোক না কেন, বরাবরের মতোই কেমন যেন শূন্য একটা অনুভূতি এনে দিচ্ছে। বাইরে আজও কুয়াশা পড়েছে। কিন্তু অজানা কোনো স্মৃতির উদ্দেশ্যে আমি আজ স্মৃতির পাতা হাতড়াচ্ছি না। কিছু একটা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাচ্ছি। একটু ভালো থাকতে চাচ্ছি।

হঠাৎ করেই ভালো থাকাটা বেশ কঠিন মনে হচ্ছে কেন যেন। আর শূন্য অনুভূতিটা এতোটাই গাঢ় রূপ নিয়েছে যে, বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছি, শূন্যই শেষ নয়। শূন্যেরই প্রকারভেদ আছে। হালকা শূন্য, মোটামুটি শূন্য কিংবা ঘন শূন্য। আর অংকের হিসেবে বলতে গেলে বলতে হবে এই মূহুর্তে আবার অনুভূতিটা শূন্য3। গাণিতিকভাবে এটা শুদ্ধ হোক বা না হোক, মানসিকভাবে এটাই এখন সত্যি।

অনিশ্চিতের উদ্দেশ্যে

কুয়াশা

দু’ধারে ল্যাম্পপোস্ট, দু’জোড়া পা, কুয়াশার মাঝে হারিয়ে যাওয়া

এখন অনেক রাত। মধ্যরাত যদি রাত বারোটাকে বলা হয়, তাহলে মধ্যরাত পেরিয়েছে ১ ঘণ্টা ১৭ মিনিট আগে। অবশ্য দূরের মাজারের মাইকের আওয়াজ এখনও দিনের মতোই স্পষ্ট। বলা যায়, দিনের চেয়ে বেশি স্পষ্ট। বাউলরা মিলে গান ধরেছে। গতকাল উরস ছিল বলে সেই রেশ এখনও কাটেনি। আগে প্রায়ই গভীর রাত পর্যন্ত বাউলদের গান শোনা যেত। আজ অনেকদিন পর সেই অনুভূতিটা ফিরে এলো।

এসব বাউলদের গানে বেশিরভাগ কথাই আমি বুঝি না। কিন্তু তাদের যন্ত্র সঙ্গীতে কেমন যেন একটা উদাস করা ভাব আছে। যেই জিনিসটা আগে কোনোদিন করেছে কি না জানিনা, এখন আমার উপর বেশ ভালোই প্রতিক্রিয়া ফেলছে। কাজকর্ম সব বাদ দিয়ে বসে আছি হেলান দিয়ে। গান শুনছি না। গানে কোনো মনোযোগ নেই। কিন্তু তবুও কেমন যেন শূন্য একটা অনুভূতি হচ্ছে। Continue reading