এক ঝড়ো সন্ধ্যায় দুই চাকার গল্প

(পোস্টটি গতকাল লেখা হয়েছিলো। কিন্তু রাত অনেক হয়ে যাওয়ায় বাংলায় আর লেখার সময় পাইনি। ভালোই হলো এখন শান্তিতে লেখা যাবে। ইংরেজি ব্লগের বিদেশি পাঠকরা তো মানুষ মহাখালি সিগনাল আর জাহাঙ্গীর গেইট চিনবে না, তাই ওগুলো ওখানে লেখা হয়নি। এখানে বিস্তারিত লেখা যাবে। 😀 )

বৃষ্টিতে সাইকেল
কয়েক সপ্তাহের টানা অস্বাভাবিক গরমে মনে হচ্ছিল ফ্রিজে ঢুকে বসে থাকি। তাও গরমটা একটু সহ্য করা যেত যদি মাথার উপরে ফ্যানটা সারাদিন ঘুরতো। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেভাবে বিদ্যুৎঅলারা রাগ দেখানো শুরু করেছিলো, এতে আমরা সবাই যেন রীতিমতো কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলাম।

বুধবার কলেজ শেষে অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। মহাখালির বিডিনিউজ অফিসের কথা বলছি। কলেজ থেকে যেতে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট লাগে। কিন্তু মাথার উপর এতো গরম নিয়ে এতোটুকু রাস্তা হাঁটার ধৈর্য্য হলো না। তাই লেগুনায় বসে বাসায় চলে এলাম। ভাবলাম, বিকেলের দিকে সূর্যের তাপ একটু কমলে আবার আসবো।

কিন্তু সূর্যের তাপ কমার তো কোনো লক্ষণই নেই। এদিকে অফিসে যাওয়াও দরকার ছিল। এদিকে অনেকদিন ধরে শখের সাইকেলটা পড়ে রয়েছে। নতুন সাইকেল চালানো শিখে যেটা টের পেয়েছি তা হলো নিয়মিত না চালালে অনেকদিন পর বের হলে সহজেই পা ব্যথা শুরু হয়। তাই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঠিক করলাম যাই হোক অফিসে আজ যাবোই।

রাস্তায় বের হয়ে টের পেলাম কড়া রোদের মধ্যেও সুন্দর একটা বাতাস আছে যেটা বাসায় বসে টের পাওয়া যায় না। যদিও বাতাস খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ঘেমেছি গোসলের মতো। 😐 তবুও সাইকেল চালানোয় খুব একটা কষ্ট হয়নি। মিরপুর থেকে টেকনিক্যাল-শ্যামলী ঘুরে মহাখালী গেলাম ৪৫ মিনিটে। দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। আমি অঙ্কে খুবই কাঁচা তাই এক ভাইয়াকে দিয়ে হিসেব কষালাম। ঘণ্টায় ১৩.৩ কিলোমিটার ছিল গড় গতি। খুব একটা খারাপ না। অবশ্য ওনাদের ২৫-৩০ কিমি/ঘণ্টার কথা শুনলে বড়ই নগণ্য মনে হয়। 😦

যাই হোক, অফিসে পৌঁছে আর ভেতরে ঢুকলাম না। ঘেমে যেই অবস্থা হয়েছে, এই অবস্থায় অফিসে ঢুকলে সবাই ভাববে ইমার্জেন্সি। তাই একটা দোকান থেকে এক বোতল ঠাণ্ডা পানি নিয়ে মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা করলাম। সাইকেল চালাতো কোনো কষ্ট হলো না। বাতাসও ছিল অনেক। প্রায়ই বাতাসের বেগে গতি ধীর করতে হচ্ছিল। এরপরও কেন এতো ঘামলাম বুঝলাম না। যাই হোক, অবশেষে ফুটপাথের পাশে লক করে অফিসের দিকে পা বাড়ালাম। মনে ভয়, যদি চুরি হয়। 😦 Continue reading