এলো এইচএসসি, আর বরাবরের মতোই দুশ্চিন্তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না!

hsc exam

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এরকম খবর প্রতি বছর পত্র-পত্রিকায় পড়ে আসলেও এবারের ঘটনা ভিন্ন। কেননা, এবার আমাকেই বসতে হবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায়।

প্রিপারেশন জানতে চাহিয়া লজ্জা দিবেন না।পরীক্ষা নিয়ে টেনশন কোনোকালেই কেন যেন ছিল না। পড়াশোনার প্রতি খুব একটা টান বা মনোযোগ দু’টোর একটাও নেই। অনেক আগে ক্লাস ওয়ান-টু-তে পড়াকালীন বেশ প্রখর ছাত্র ছিলাম বলে অভিভাবক সূত্রে জানা যায়। 😐 কিন্তু সেসব দিনের কথাই মনে পড়ে না। তাই এইচএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে এখন ব্লগিং করছি আর ফেসবুকে বসে আছি।

আমার সম্পর্কে মানুষের একটা জনপ্রিয় ভুল ধারণা হলো, আমি মারাত্মক ট্যালেন্টেড। কোনো এক অশরীরী আমার নামে সাইবার ওয়ার্ল্ডে এই দুর্নাম ছড়াচ্ছে তা এখনও বের করতে না পারলেও মানুষ কেন সেটা বিশ্বাস করে সেটা আরও বড় অবাক হওয়ার কারণ। আমি হলাম পুরোমাত্রায় টেক-অ্যাডিক্টেড মানুষ। টেক-অ্যাডিক্টেড মানুষ পড়ালেখা করে না এমনটা না। কিন্তু তবুও আমার আলসেমিটা একটু বেশিই। 😕

মার্চ মাসজুড়ে কী করেছি শুনুন। প্রায় প্রতিদিন অ্যান্ড্রয়েড কথন টিমের সঙ্গে মিটআপ করেছি। হাতেগোণা কয়েকটি রেস্টুরেন্টে অগণিতবার হানা দিয়েছি। টিভি সিরিজ বার্ন নোটিস-এর চামচা হয়ে গিয়েছি। আর সর্বোপরি লেখালেখি ও অন্যান্য কাজ তো প্রতিনিয়ত আছেই। পড়তে যে একেবারেই বসিনি তা না। কিন্তু তা এইচএসসি পরীক্ষার প্রিপারেশনের পর্যায়ে যে পড়ে না তা নিশ্চিত। যতটুকু সময় নেটে আর অন্যান্য কাজে কাটিয়েছি, ততোটুকু সময় সেসব কাজ না থাকলে ঘুমিয়ে কাটাতাম। তাই কম্পিউটার আর ইন্টারনেটকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। -_- আসল কথা হলো, আমার যতটুকু পড়ার ধৈর্য্য আছে আমি ততটুকু যেভাবেই হোক পড়ি।

সমাস কতপ্রকার ও কী কী বা কপিলা কার সাথে ফ্লার্ট করলো সেটা জীবনে কোন কাজে আসবে তা এখনও মাথায় ঢোকার অপেক্ষায়।অবশ্য ততটুকু পড়ে এ প্লাসের আশা করা যায় না বললেই চলে। তাই আমিও ধারণা করছি এ প্লাস হয়তো পাবো না। যদি না প্রশ্ন ভয়াবহ রকম সহজ হয় অথবা পরীক্ষায় গার্ড কম পড়ে অথবা খাতা দেখার সময় টিচাররা উদারতা ও মহানুভবতার চরম পরিচয় দেন, এ প্লাসের আশা নিতান্তই দূরাশা। কিন্তু ভালো রেজাল্টের আশা অবশ্যই করি। আর আমার মতে ভালো রেজাল্ট মানেই এ প্লাস না। 😐 তাছাড়া আমার যেসব বিষয়ে আগ্রহ নেই, সেসব বিষয়ে পড়তেও ভালো লাগে না। যেমন বাংলা প্রথম পত্র, যেটার পরীক্ষা আগামীকালই। এই বিষয়ে আমি কোনোকালেই ভালো নাম্বার পাইনি। এসএসসিতে পেয়েছিলাম বি গ্রেড। অবশ্য এতে মন খারাপও হয়নি। বাংলা প্রথম পত্রে খারাপ করে এ প্লাস ছুটে গেলে কান্নাকাটির কোনো মানে হয় না। আমার যেটা শেখা/জানা দরকার সেটা জানা হলেই হলো।

যেমন উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ এবং অর্থায়ন, উৎপাদন ও বিপণন বিষয়গুলোর প্রতি আগ্রহ আছে। অবশ্য তাই বলে এগুলোতে যে এ প্লাস পাবো সেই নিশ্চয়তাও নেই। 😦

সবচেয়ে বড় কথা, দিনে ১৬ ঘণ্টা পড়া বা কোচিং-টু-কোচিং দৌড়াদৌড়ি করা আমার দ্বারা কোনোকালেই সম্ভব ছিল না। (এ পর্যন্ত কোথাও কোচিং করিনি!)

যাই হোক, আজাইড়া বকবক অনেক করা হলো। আজ সকালে পদ্মা নদীর মাঝি ছবিটা দেখলাম আর বইয়ের সঙ্গে মেলালাম। বাংলা বইটাও প্রায় শেষের দিকে যদিও বরাবরের মতো কবিতার এক লাইনও বুঝতে পারছি না। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মানে আত্মীয়-স্বজনকে ফোন করে দোয়া নেয়া। 😐 এই স্টেপটা স্কিপ করতে পারলে বাঁচতাম। কিন্তু তাহলে সবাই নাকি “ভাবওয়ালা” বলতে পারে। তাই নিতান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও..।

আর এইচএসসি চলাকালীন হরতালের কথাও শোনা যাচ্ছে। আমি অবশ্য ১১ই এপ্রিল হরতাল হলে খুশি হবো। ব্যবসায় নীতি প্রয়োগ (ও সায়েন্সের পদার্থবিজ্ঞানের) আগে মাত্র একদিন গ্যাপ দিয়েছে! :@

সবশেষে, সবাইকে পরীক্ষায় ভালো করতে যেন পারি সেই দোয়া করার অনুরোধ থাকলো। 🙂 (দ্রষ্টব্য, অ্যান্ড্রয়েড কথনের রাহাত রহমানও দোয়াপ্রার্থী। কিন্তু সে গতকাল আমার ১০০ টাকা হাইজ্যাক করেছে। তাই তার জন্য কম করে দোয়া করবেন। 😆 )

12 responses

  1. হাঃ হাঃ হাঃ। দোয়া করি ভাল ভাবে পরিক্ষা দিয়ে ভাল রেজাল্ট করবেন।

    আর আমিও এইচ এস সি পরিক্ষার আগে তেমন একটা পড়া-লেখা করি নাই। এখনতো আরো করি না!

      • তাওতো ভাল….আমার মত পোড়াকপাইল্লা না…আমার সিট এস এস সি/এইচ এস সি দুইবারই প্রথম বেন্চে পড়েছিল। :p

  2. With havin so much content and articles do you ever run into any problems of plagorism or copyright violation? My site has a lot of unique content I’ve either authored myself or outsourced but it
    seems a lot of it is popping it up all over the web
    without my authorization. Do you know any solutions to help reduce content
    from being stolen? I’d really appreciate it.

Leave a reply to Elvera Cancel reply